মারুফ সরকার, প্রতিবেদক : বাংলাদেশ শান্তির দল কর্তৃক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চলমান অগনতান্ত্রিক, অরাজনৈতিক ও অসাংবিধানিক কাল আইন বাতিল ক্রমে নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ ও গ্রহনযোগ্য করার জন্য কতিপয় সুপারিশ।
১। বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ একটি অগনতান্ত্রিক, অরাজনৈতিক অসাংবিধানিক, বিবেচনা ও বাস্তবতাহীন এবং অগ্রহনযোগ্য।
২। বাংলাদেশ শান্তির দলের মতে, দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই রাজনৈতিক দল সমূহের রাজনীতি ও জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার বিধি ব্যবস্থাকে বাতিল করে ২০০৮ সালের নুন্যতম ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) প্রসাশনিক জেলা ও ১০০ টি উপজেলা নির্বাহী কমিটি গঠন করাসহ যে সকল আইন হয়েছে, উক্ত আইন সমূহ নিষ্পেষণমূলক, নিবর্তনমূলক, গনতন্ত্র ও রাজনৈতিক বিকাশের পরিপন্থি ও কালো আইন। আমরা অবগত হয়েছি যে, একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনারের একান্ত নিজস্ব মস্তিস্কপ্রসুত কল্পনামূলে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই অগনতান্ত্রিক কাল আইন তৈরি হয়েছে। যার কারণে আজ দেশে নিবন্ধন সংক্রান্ত ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য যে, তিনি বিভিন্ন সময়ে টেলিভিশনের টকশোতে অনেক গর্ব করে বলেন যে, তিনি এই নিবন্ধন আইন তৈরী করেছেন। অথচ, তার রাজনৈতিক অথবা সিভিল প্রশাসনের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নাই এবং এই বিষয়ে কোন রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহন করা হয় নাই।
৩। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিষয়ে বাংলাদেশ শান্তির দল নি¤œ লিখিত সুপারিশ করছে। সুপারিশ সমূহ নি¤œরূপঃ-
ক। রাজনৈতিক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি।
খ। একটি দলীয় গঠনতন্ত্র।
গ। একটি কেন্দ্রীয় অফিস।
ঘ। দলের চেয়ারম্যান কর্তৃক নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দল নিবন্ধন করার অভিপ্রায় সংক্রান্ত একটি হলফনামা।
ঙ। নিবন্ধনের দরখস্ত ফি বাবদ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকার ব্যাংক ড্রাফট এবং
চ। সতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থীতার ক্ষেত্রে মাত্র ০১ জন ভোটারের সুপারিশের মাধ্যমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার সুুযোগ প্রদান।
উপরে বর্ণিত ৫ (পাঁচ) টি শর্তে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা পুনঃ প্রনয়নের জন্য বংলাদেশ শান্তির দল জোর সুপারিশ ও অনুরোধ জ্ঞাপন করছে।