মাসুম মিয়া, জাককানইবি প্রতিনিধি
“শিশিরের মতো নির্মল হও প্রাণ,কুয়াশায় ভিজে মুক্ত অনির্বাণ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের নেয় এবারও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২ দিন ব্যাপি আয়োজন করেছে “কুয়াশা উৎসব ১৪৩১”। শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকায় (৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৫) রাগ সঙ্গীতের মাধ্যমে নজরুল বেদীতে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়।
কুয়াশা উৎসবকে কেন্দ্র করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মিলনমেলা ও উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজমান।
কুয়াশা উৎসব শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অবিচ্ছেদ্য সম্পদ এবং গৌরবময় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এই উৎসব প্রতিটি শিক্ষার্থীর আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলার অন্যতম প্রধান উপলক্ষ এটি।
প্রতি বছর কুয়াশা উৎসবকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস এবং আশপাশের মানুষ এক প্রাণোচ্ছ্বল পরিবেশে মেতে ওঠে। এই উৎসব শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্যই একতা এবং সম্প্রীতির প্রতীক। কুয়াশা উৎসব নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরে, যা অন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আলাদা করেছে।এইরকমই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এবারের কুয়াশা উৎসবে নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে,নাগরদোলা,নানান কিছুর স্টল বসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ সংস্কৃতি মনা মানুষদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ ঘটেছে। দু’দিন ব্যাপি উৎসবকে চারটি পর্বে নানা রকম আয়োজন করা হয়েছে।
১ম দিন (৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫) ১ম পর্বে থাকছে, রাগ সংগীত,পিঠা-পুলির আসর,ভয় নাটক। ২য় পর্বে থাকছে, উদ্বোধনী আগুন প্রজ্জ্বলন,নজরুল শ্রদ্ধাঞ্জলি,চলচ্চিত্র প্রদর্শনী,লোকনৃত্য,অভিক নৃ,ঘাটু গানের মন মজাইছে
২য় দিন (৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫)১ম পর্বে থাকছে,যন্ত্র সংগীত,পিঠাপুলির আসর।
২য় পর্বে থাকছে, স্বরচিত কবিতা,আদিবাসী নৃত্য,ক্যাম্পাসের গানের দল,চলচ্চিত্র প্রদর্শনী,কানিজ খন্দকার মিতু’র গান পরিবেশন,মাদলের গান,সমাপনী কীর্তন এর মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসের নজরুল বেদী,চুরুলিয়া মঞ্চ,জয়ধ্বনী মঞ্চ, আদিবাসী জোন এ অনুষ্ঠান গুলো আয়োজন করা হয়েছে।
![](https://bangla.fm/wp-content/uploads/2025/02/1000003444.jpg)