সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে এক নতুন দৃষ্টিকোণ এসেছে। গত কয়েক বছর ধরে মামলার তদন্তে উঠে আসা বিভিন্ন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক বিচারপতি মানিককে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে সাবেক বিচারপতি মানিকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে এসব প্রশ্ন-উত্তর হয়।
সূত্র জানায়, তদন্তকারীরা সাবেক বিচারপতির কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তদন্তের ফলাফলের ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে নতুন তথ্য ও সম্ভাব্য জড়িতদের বিষয়ে সাবেক বিচারপতির বক্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নানা সময় সন্দেহভাজন হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম উঠলেও, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর সরোয়ার ও রুনি হত্যার কোনো সঠিক খোলসা এখনো হয়নি। সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের ধারাবাহিকতায় একাধিক সম্ভাব্য তত্ত্ব সামনে এসেছে, যা মামলা থেকে নিষ্পত্তি পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অনেকের নাম উঠে আসে। কিন্তু সঠিক কোনো অভিযুক্ত এখনো ধরা না পড়ায় এই মামলা দেশব্যাপী আলোচনার শীর্ষে রয়েছে।এক নতুন দৃষ্টিকোণ এসেছে। গত কয়েক বছর ধরে মামলার তদন্তে উঠে আসা বিভিন্ন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক বিচারপতি মানিককে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে সাবেক বিচারপতি মানিকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে এসব প্রশ্ন-উত্তর হয়।
সূত্র জানায়, তদন্তকারীরা সাবেক বিচারপতির কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তদন্তের ফলাফলের ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে নতুন তথ্য ও সম্ভাব্য জড়িতদের বিষয়ে সাবেক বিচারপতির বক্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অনেকের নাম উঠে আসে। কিন্তু সঠিক কোনো অভিযুক্ত এখনো ধরা না পড়ায় এই মামলা দেশব্যাপী আলোচনার শীর্ষে রয়েছে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন দৃষ্টিকোণ নিয়ে তদন্ত চলছে। এই মামলার তদন্তের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক জানায়, তারা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে আবেদন করেছিলেন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি মঞ্জুর হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক বলেন, “বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও মোহাম্মদ সোহাইলকে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য এখন যাচাই করা হচ্ছে।” এছাড়া, মামলায় হাজতী আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবীরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্যও যাচাই করা হচ্ছে।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম উঠে আসলেও, এখনও কোনো সঠিক সমাধান পাওয়া যায়নি।
তদন্তের জন্য হাইকোর্ট গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর র্যাবের তদন্ত কার্যক্রম সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের হাতে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালতে বেশ কিছু আবেদন করা হয়। আদালত তদন্তের জন্য ছয় মাসের সময় নির্ধারণ করেছে এবং পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে, তদন্তের প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও দ্রুত গতিতে পরিচালনা করার জন্য মামলার বাদী নওশের আলম আশা প্রকাশ করেছেন যে, টাস্কফোর্স এপ্রিল মাসে প্রতিবেদন দেবে এবং সেটি সুষ্ঠুভাবে কার্যকর হবে।