নকীব মাহমুদ জামী; পাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের ফরিদা টাওয়ার পর্যন্ত গিয়ে প্রধান ফটকে এসে মহাসড়ক অবরোধ করে। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে পুনরায় স্বাধীনতা চত্বরে ফিরে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন ইন্টেরিম জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করেন পুরো ক্যাম্পাস।
এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোরসালিন জুলাই বিপ্লবের শহিদদের স্মরণ করে বলেন, ‘জুলাইয়ের শহিদ ভাই বোনদের জীবন ত্যাগের একমাত্র কারণই ছিল বাংলাদেশ থেকে সব প্রকার অন্যায়, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন রাহাজানি থেকে এ দেশকে মুক্ত করতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ৫ আগস্ট এর পরেও এসব থেকে আমাদের সমাজ মুক্তি পায়নি। এখন ধর্ষণ আমাদের সমাজে এমন আকার ধারণ করেছে যে অন্যায় আমরা কোনোভাবেই সহ্য করব না। এ ধরনের অন্যায়ের অস্তিত্ব থাকার জন্য আমাদের শহিদরা জীবন দেননি।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশে আইন আছে, বিচারবিভাগ আছে কিন্তু ধর্ষকের কোনো বিচার নাই, আইনের কোন প্রয়োগ নাই। আমরা ইন্টেরিম গভর্নমেন্টকে বলতে চাই আপনারা সঠিকভাবে যদি এদেশকে পরিচালনা করতে না পারেন আপনাদেরকে এর জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা চাই আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে এ দেশে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন বলেন, ‘আমরা দেখেছি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের শিকার হয় নারীরা কিন্তু এসব ধর্ষকেরা বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি অনেকগুলো ধর্ষণের ঘটনায় শুধু একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারপরেও বিচারিক কার্যক্রমে অনেক সময়ক্ষেপণ দেখতে পায়। আমরা চাই ধর্ষকদের দ্রুত সময়ে বিচার করতে হবে এবং প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। দর্শকদের ঠিকানা আমরা এই বাংলায় চায়না ধর্ষকদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো এবং আন্দোলন চালিয়ে যাব।