শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ৬টা বেলা ১২টা ও বিকাল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০০মিটার (অটো গেজ)। যা বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)।
ফলে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কমলা সংকেত জারী করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারনে তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। উজানের ঢল আরও বৃদ্ধি পেলে চরাঞ্চলের বসবাড়িগুলো তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে তিস্তা অববাহিকা সহ বিভিন্ন নদনদী অববাহিকায় ভারি ও অতিভারি বৃস্টি হয়েছে। এতে রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৯২ মিলিমিটার ও নীলফামারী সদরে ২৭ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায় তিস্তা নদীর ওপারে ভারতের জলপাইগুড়ি পয়েন্টে ১৩২ মিলিমিটার ও কোচবিহার পয়েন্টে ৬২ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করার খবর পাওয়া গেছে। এতে তিস্তা নদী সহ করতোয়া, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি হু-হু করে বাড়ছে।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভারি ও অতিভারি বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।