মনোয়ার বাবু (ঘোড়াঘাট) দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ২নং পালশা ইউনিয়নের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে এ কর্মী সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের আহবায়ক এ.কে.এম মাসুদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউর রহমান রেজা।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম শান্ত এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোফাজ্জল হোসেন প্রধানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ ও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঘোড়াঘাট পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম দুলু, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মেজবাউল আলম জুয়েল সরকার, পালশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মিঠু সিদ্দিকী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মফিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জোবায়ের হোসেন সাদ্দাম প্রমূখ।
কর্মী সভায় পালশা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জনসহ মোট ৯ জন পদপ্রত্যাশী নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তাদের রাজনৈতিক জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী সময়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
আগামী নির্বাচন হবে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের নির্বাচন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এখনই জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা ১৭ বছর ধরে নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয়েছি। আমাদেরকে খুন, গুম করা হয়েছে, আমাদেরকে মিথ্যে মামলায় বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছে। পরিবারের মা-বোন এমন কি আমাদের স্ত্রীরাও তাদের নির্যাতন থেকে রেহায় পায়নি। তাই আর কোন স্বৈরাচারকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৬ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে বিজয়ী করতে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে মাঠে গণজোয়ার তৈরিতে যুবদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
কর্মী সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন যুবদলের আনুমানিক এক থেকে দেড় হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।