সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রবাসী স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক তরুণী। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী উজ্জ্বলের বাড়ির গেটে বসে আছেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অনশনরত তরুণীর নাম পান্না দাশ (২৫)। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ উত্তরসুর এলাকার সুকুমার সরকার ও আরতি সরকারের মেয়ে।
পান্না দাশ জানান,উপজেলার সবুজবাগ এলাকার উজ্জ্বল দাশ,(পিতা: জহর লাল দাশ)-এর সঙ্গে তার ২০১৬ সাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক। ওই বছর তারা মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর উজ্জ্বল দাশ বিদেশে (ওমান) চলে যান।
পরে ২০২২ সালে ছুটিতে দেশে ফিরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে মৌলভীবাজার কালিবাড়ি মন্দিরে তাদের আনুষ্ঠানিক বিবাহ সম্পন্ন হয়। ওই সময় উজ্জ্বল দাশ তাকে দেড় মাসের মতো শ্রীমঙ্গলের আমতলীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখেন। ছুটি শেষে তিনি আবার ওমান ফিরে গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
পান্না দাশ অভিযোগ করে বলেন,“আমার স্বামী এখন পরিবারের চাপে আমাকে ঘরে তুলছেন না। সকাল থেকে আমি তার বাড়ির গেইটে বসে আছি, কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ি দরজা খুলছেন না। ফোনে উজ্জ্বল জানায়,পরিবার না মানলে কিছুই করার নেই।”
আবেগভরে তিনি আরও বলেন,“যদি আমাকে ঘরে না তোলে,আমি আত্মহত্যা করব।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উজ্জ্বলের মা আরতি রাণী দাশ গেটের ভেতর থেকে জানান,“এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না,আমার স্বামী বলতে পারবেন।”
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পিয়াস দাশ বলেন,“আগেও আমি মেয়েটির অধিকার আদায়ের চেষ্টা করেছি,কিন্তু উজ্জ্বল দাশের পরিবার বিষয়টি মানতে চায়নি। এখন চেষ্টা করছি মেয়েটির অনশন ভাঙিয়ে সমঝোতার পথ খুঁজে বের করতে। সমাধানের জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”