আষাঢ়-শ্রাবণ মিলিয়ে বর্ষা শেষ, চলছে আশ্বিন। তবুও সিরাজগঞ্জে অসময়ে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি। এতে শঙ্কিত হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষকেরা। পানি আরও বাড়লে শীতকালীন সবজির আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অসময়ে পানি বাড়লেও বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯৮ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলার কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের আমজাদ আলী ও হাফিজুলসহ একাধিক কৃষক বলেন, আমরা শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করেছি। সবজির চারা বড় হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় যমুনার পানি বাড়ছে। আমরা শঙ্কায় রয়েছি আরও পানি বাড়লে সবজি ক্ষেত প্লাবিত হতে পারে। এতে চরম ক্ষতির শিকার হব।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, উজানে থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। আরও দুই একদিন পানি বাড়তে পারে। তবে এত বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জে পানি বৃদ্ধির কারণে যমুনা পাড়ের মানুষের মাঝে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ প্রতিবছরই পানি বৃদ্ধি এবং কমার সময় যমুনায় ভাঙন দেখা দেয়। তাছাড়া প্রতিবছর যমুনার পানি বিভিন্ন চর ও লোকালয়ে প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।