ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইসরায়েলি হামলায় ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। প্রদেশটির গভর্নর বেহরাম সারমাস্ত জানিয়েছেন, এই হামলায় অন্তত ৩০ জন সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে একজন রেড ক্রিসেন্ট কর্মী ও আরও দুজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে সারমাস্ত বলেন, ইসরায়েল একযোগে প্রদেশজুড়ে ১৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে তাবরিজ শহরের ১২টি জায়গা রয়েছে। তাছাড়া বোস্তানাবাদ, শাবেস্তার, আজারশাহর, মারাগেহ এবং তুর্কমেনচায় কাউন্টিতেও হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বরাত দিয়ে ইরানি রাষ্ট্র পরিচালিত চ্যানেল প্রেস টিভি জানায়, পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলের হামলায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। এই হামলাগুলোর সূচনা হয় শুক্রবার ভোরে, যখন ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক হামলা চালায়। ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানীদের হত্যা করা।
এর জবাবে ইরানও একাধিক পাল্টা হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার রাতেই ইরান ইসরায়েলের বেশ কিছু এলাকা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এই উত্তেজনা থেমে নেই। শনিবারও ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন শহরে হামলা অব্যাহত রাখে, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ এখন যেন রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্র। সর্বশেষ গত রাতেও ইরান আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ঝাঁক ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নিক্ষেপ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সংঘাত যেভাবে বাড়ছে, তা যে কোনো মুহূর্তে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।