পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ভারতের বিমান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়ায় চাপে পড়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো। এতে শুধু দীর্ঘ যাত্রাপথই নয়, বাড়ছে জ্বালানি খরচও। এর ফলে আন্তর্জাতিক রুটে টিকিটের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আল–আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইটগুলোকে বিকল্প দীর্ঘ রুটে যেতে হচ্ছে, যা সময় ও অর্থ—দুয়োই বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো শীর্ষ এয়ারলাইনের জন্য এটি বড় ধরনের ধাক্কা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিমান কোম্পানিগুলোর পরিচালন ব্যয়ের ৩০ শতাংশই হয় জ্বালানি খাতে, ফলে দীর্ঘ রুট মানেই সেই খরচ বেড়ে যাওয়া। সেই চাপ সামলাতে বাড়ানো হতে পারে যাত্রীদের ভাড়া।
এ ছাড়া এই পরিবর্তনে বিমান চালনা সংক্রান্ত সময়সূচি বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে, ফ্লাইট আওয়ার এবং পাইলট ও ক্রুদের দায়িত্ব বণ্টনও নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন এক অভিজ্ঞ ভারতীয় পাইলট।
প্রভাব ইতোমধ্যেই চোখে পড়েছে। FlightAware-এর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে বাকুগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইট 6E1803 পাকিস্তানের আকাশ এড়িয়ে ঘুরপথে গিয়ে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে ৫ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। যেখানে আগের দিন, একই রুটে ফ্লাইটের সময় ছিল মাত্র ৫ ঘণ্টা।
পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ২৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে এটি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে বিমান শিল্পে আরও বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ রেখেছিল প্রায় পাঁচ মাস। তখন ভারতীয় এয়ারলাইনগুলোর সম্মিলিত ক্ষতি হয়েছিল অন্তত ৬৪ মিলিয়ন ডলার। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা—আর এবারও সেই আশঙ্কাই ঘুরে ফিরে আসছে।