কাশ্মীর ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের অন্যতম সর্বাধুনিক ও দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘S-400’ ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান। শনিবার (১০ মে) ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামে এক সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের আদমপুরে অবস্থিত একটি S-400 ইউনিট গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা জানায়।
রাশিয়ার তৈরি এই S-400 সিস্টেমটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং ব্যয়বহুল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম। এটি মূলত আকাশপথে আসা যুদ্ধবিমান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে। পাকিস্তানের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, চীনের সহায়তায় তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান থেকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এই আক্রমণ চালানো হয়। আঘাতে ধ্বংস হয়েছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি সম্পূর্ণ S-400 ইউনিট।
এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে তিনটি প্রধান অংশ—উৎক্ষেপক যান, শক্তিশালী রাডার এবং একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ। একসাথে কাজ করে এটি ৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে। ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই দাবির সত্যতা স্বীকার কিংবা অস্বীকার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে পাঁচটি S-400 ইউনিট কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিস্টেম ন্যাটোসহ পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকদের কাছেও দীর্ঘদিন ধরে একটি উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
সাম্প্রতিক এই হামলার মাধ্যমে শুধু ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাই নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সামরিক ভারসাম্য নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন সফল হামলা চীনা ও পাকিস্তানি সামরিক সহযোগিতার এক নতুন মাত্রা প্রকাশ করেছে।