যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস সব অফিসিয়াল ডিভাইসে মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সোমবার কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো এক নোটিশে জানানো হয়, মেটার মালিকানাধীন এই অ্যাপটি এখন থেকে হাউসের সকল ডিভাইসে নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সিকিউরিটি অফিস হোয়াটসঅ্যাপকে “উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ” অ্যাপ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ, অ্যাপটি ব্যবহারকারীর তথ্য কীভাবে সুরক্ষিত রাখে সে বিষয়ে স্বচ্ছতা নেই, রয়েছে এনক্রিপশনের দুর্বলতা ও সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি।
এই নির্দেশনার ফলে হোয়াটসঅ্যাপের বদলে বিকল্প হিসেবে মাইক্রোসফট টিমস, অ্যামাজনের ইউকার, অ্যাপলের আইমেসেজ ও ফেসটাইম এবং সিগন্যাল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও সিগন্যাল নিজেও বিতর্কে জড়িয়েছে সম্প্রতি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপে দুটি গোপন গ্রুপ চ্যাটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা ভাগাভাগি করা হয়—যার একটি তৈরি করেছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার মাইক ওয়াল্টজ এবং অন্যটি প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। একটি গ্রুপে ভুল করে যুক্ত হন সাংবাদিক জেফ্রি গোল্ডবার্গ, যা নিরাপত্তা প্রশ্ন তুলে দেয়।
এর আগে থেকেই পেন্টাগন তাদের কর্মীদের সিগন্যাল ব্যবহারে সতর্ক করেছিল, কারণ অ্যাপটিতে প্রযুক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে বলে তারা মনে করে। এই প্রেক্ষাপটে হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কংগ্রেসে সাইবার নিরাপত্তা এবং তথ্য সুরক্ষার প্রতি বাড়তি গুরুত্বেরই ইঙ্গিত দেয়। তবে এই বিষয়ে মেটার পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি। যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের মাঝে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।