পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগে ভারতের সাম্প্রতিক অপপ্রচারের জবাবে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামাবাদ। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) ঘেঁষা বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকা পরিদর্শনের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্য মন্ত্রণালয়।
দুই দিনব্যাপী এই সফর শুরু হচ্ছে রোববার (৪ মে) থেকে এবং চলবে সোমবার পর্যন্ত। এই সময় বিদেশি সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে পরিদর্শন করবে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চলের এলওসি ঘেঁষা গ্রাম ও সামরিক এলাকা।
সরকারি সূত্র জানায়, ভারতের অভিযোগ—যে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প রয়েছে—তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এই সফরের উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বাস্তব চিত্র দেখানো এবং নয়াদিল্লির “মিথ্যা প্রচারণা”র জবাব দেওয়া।
পরিদর্শনের সময় সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিদের ব্রিফ করা হবে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং পাকিস্তানের অবস্থান সম্পর্কে। পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা শান্তির পক্ষে এবং যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস কার্যকলাপের ঘোর বিরোধী।
তথ্যমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, “পাকিস্তানি জাতি তার ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শান্তিই আমাদের অগ্রাধিকার।”
এদিকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার অংশ হিসেবে আজ কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এবং আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে অংশ নেবেন।
এই ব্রিফিংয়ে আলোচনায় আসবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনা, সম্ভাব্য সশস্ত্র সংঘাতের ঝুঁকি, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি এবং উত্তেজনা প্রশমনের কূটনৈতিক উদ্যোগসহ রাষ্ট্রীয় নীতিগত অবস্থান।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে একটি সন্ত্রাসী হামলার পরপরই ভারত সরাসরি দায় চাপায় পাকিস্তানের ওপর। তারপর থেকেই নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে যুদ্ধোন্মাদনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ভারত কোনো আগাম সতর্কতা ছাড়াই সীমান্ত পেরিয়ে হামলার চেষ্টা করতে পারে।