জেরুজালেমে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে শহরের একাধিক এলাকায়, যার ফলে স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেক অঞ্চল খালি করে দেওয়া হয়েছে। শহরের উপকণ্ঠে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয়বারের মতো বড় পরিসরের আগুন লাগার ঘটনা। এতে ঘনবসতিপূর্ণ কিছু এলাকা যেমন নেভে শালোম, বেকোয়া, তাওজ, মেভো হোরন, মিশমার আয়ালন ও নাচশন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হাইওয়েতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়, এবং পরিস্থিতির ভয়াবহতায় অনেক চালক তাদের গাড়ি ফেলে হেঁটে পালিয়ে যান।
বনের শুষ্কতা, প্রচণ্ড গরম এবং তীব্র বাতাস—এই তিনের মিলেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আশপাশের আরও জনবসতি। ইতিমধ্যে আটজন ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে গ্রিস, সাইপ্রাস, ইতালি এবং ক্রোয়েশিয়ার কাছে আবেদন জানিয়েছে। এমন সময়ে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে। তারা ইসরায়েলকে অগ্নিনির্বাপণ দলের সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে, যদিও এখনো সে প্রস্তাবে ইসরায়েল সাড়া দেয়নি। অতীতেও ফিলিস্তিনি দমকল বাহিনী ইসরায়েলে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তিনি নিয়মিতভাবে পরিস্থিতির আপডেট নিচ্ছেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির ও অন্যান্য অগ্নিনির্বাপণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছেন।
সাম্প্রতিক এই দুর্যোগ জেরুজালেমের মতো ঐতিহাসিক শহরে মানবিক ও পরিবেশগত সংকট তৈরি করেছে, যার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।