ইসরাইলের একটি কৌশলগত বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি-সমর্থিত সামরিক বাহিনী। হাইফার নিকটবর্তী ‘রামাত দাভিদ’ ঘাঁটিতে এই হামলায় ব্যবহার করা হয় ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামের একটি উচ্চগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র। ইয়েমেনি বাহিনীর দাবি—এটি সফলভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়।
ঘাঁটিটি ইসরাইলি বিমান বাহিনীর অন্যতম পুরনো ও কৌশলগত ঘাঁটি, যেখানে এফ-১৬ সহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে, যা উত্তর ফ্রন্টে লেবানন ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযানে ব্যবহৃত হয়। সরাসরি এই ঘাঁটিতে হামলা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যুহে বড় ধরনের ফাঁকফোকরের ইঙ্গিত দেয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, গাজার প্রতিরোধযোদ্ধাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং ইয়েমেন ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ে পাশে থাকবে যতক্ষণ না আগ্রাসন থেমে যায়।
যদিও ইসরাইল এখনো এই হামলা স্বীকার বা অস্বীকার করেনি, বিশ্লেষকরা বলছেন—এটি সত্য হলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি সামরিক বাস্তবতার জন্ম দেবে। বিশেষ করে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার প্রযুক্তি এখনও বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই অপ্রতুল।
এই হামলা এমন সময় ঘটল, যখন গাজা সংকট দ্বিতীয় বছরে গড়িয়েছে এবং ইসরাইল একাধিক ফ্রন্টে উত্তপ্ত বিরোধের মুখোমুখি। লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনকে ঘিরে একযোগে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এখন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।