ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইস্যুতে আপসহীন অবস্থান নিয়েছে ইরান। তেহরানে সিএনএন-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই স্পষ্টভাবে বলেন, “শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি অর্জন ও ব্যবহারের অধিকার ইরানের সার্বভৌম অধিকার—এ নিয়ে কোনো আপস নয়।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে জানান, ইরান সংলাপে আগ্রহী হলেও জাতীয় স্বার্থ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কোনোভাবেই আলোচনার টেবিলে আসবে না।
বাঘাই বলেন, “আমরা পারমাণবিক অস্ত্রায়নের বিরুদ্ধে, কিন্তু কেউ যদি আমাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে বাধা দিতে চায়, তাহলে তা পুরো আলোচনা প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।” তিনি আরও জানান, অস্ত্রায়ন রোধ সহজ, কিন্তু একটি জাতিকে তার বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়ের পরিপন্থী।
এদিকে রোমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পঞ্চম দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ভালো কিছু হতে পারে।” তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই আলোচনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন, যা ইঙ্গিত দেয়, ইরান অভ্যন্তরীণভাবে এখনো পূর্ণ আস্থায় পৌঁছায়নি।
এ পরিস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বেড়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে—ইসরায়েল নাকি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বাঘাই বলেন, “ইরান কোনো হুমকির কাছে মাথা নত করবে না। আমাদের জাতি এক কণ্ঠে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত।” বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য কেবল কূটনৈতিক বার্তা নয়, বরং ইরানের সার্বভৌমত্ব ও আত্মরক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত।