আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (মেগা) প্রচারণার অন্যতম মুখ লরা লুমার। তার দাবি, বাইডেন “টার্মিনাল ক্যানসারে” আক্রান্ত এবং তিনি “আগামী দুই মাসের মধ্যেই মারা যেতে পারেন।”
সম্প্রতি অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া একাধিক পোস্টে লুমার এমন বক্তব্য দিয়েছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে তথ্য প্রকাশের পরই এসব মন্তব্য করেন লুমার।
এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া পোস্টে লুমার লেখেন, “আমি গত জুলাইতেই বলেছিলাম, বাইডেন টার্মিনাল ক্যানসারে ভুগছেন। এখন তা স্পষ্ট হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি ঠিক ছিলাম—চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়ের পূর্বাভাস দিতে আমি সফল হয়েছি। বাইডেন যখন মারা যাবেন, তখন অনেকেই বুঝবে আমি ঠিক বলেছিলাম।”
তিনি একটি পুরোনো পোস্টও শেয়ার করেন, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, বাইডেনের ভাই ফ্র্যাঙ্ক বাইডেন একবার ভুলক্রমে বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ‘টার্মিনাল ক্যানসারে’ আক্রান্ত। লুমার সেই বক্তব্যকেই প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
লুমার অভিযোগ তোলেন, হোয়াইট হাউস দীর্ঘদিন ধরে বাইডেনের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছে এবং প্রেসিডেন্টের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রেকর্ড জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেন, “বাইডেনের সঙ্গে চিকিৎসকদের একাধিক মধ্যরাতের গোপন বৈঠকের প্রমাণ রয়েছে। অফিসিয়াল লগ চেক করলেই মিলবে তথ্য।”
একইসঙ্গে তিনি ২০২২ সালের একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে বাইডেন বলেছিলেন, “আমার ক্যানসার আছে।” যদিও সে সময় হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে জানায়, প্রেসিডেন্ট তখন তার অতীতে হওয়া ত্বকের ক্যানসারের কথা বলেছিলেন, যা বহু আগেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দূর করা হয়েছিল।
লুমার এই বিষয়টিকে হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে “সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার দাবি, বাইডেন পুরো প্রেসিডেন্সি জুড়ে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন, অথচ প্রশাসন তা চেপে গেছে।
শেষে তিনি বলেন, “সবাই বলছে বাইডেন সুস্থ হয়ে উঠুন, কিন্তু বাস্তবতা হলো তিনি আর সুস্থ হবেন না। আমাদের এখন উচিত সত্যি মেনে নেওয়া এবং এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা।”