সংবাদ প্রতিবেদন:
পাকিস্তান তিন দশক ধরে কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছে—এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা প্রায় তিন দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য, যার মধ্যে ব্রিটেনও রয়েছে, এই নোংরা কাজটি করে আসছি। এটি একটি ভুল ছিল এবং আমরা এর জন্য আজও ভুগছি।”
এই প্রশ্নে তাঁকে খোঁচা দেন উপস্থাপক ইয়ালদা হাকিম। তিনি সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, “পাকিস্তান তো দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছে, তাই না?” এর জবাবেই আসিফ এই স্বীকারোক্তি দেন, যা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, যদি পাকিস্তান সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং পরে ৯/১১ পরবর্তী মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে অংশ না নিত, তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হতো একেবারেই আলাদা। তাঁর মতে, এ সিদ্ধান্তগুলোই পাকিস্তানকে আজকের সংকটময় অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে আসিফ সতর্ক করেন, কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার পর ভারতের পদক্ষেপগুলো দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ডেকে আনতে পারে।
তিনি বলেন, “বিশ্বের উচিত এখন চিন্তা করা—কারণ এই দুই দেশের কাছেই রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র।” ভারত-পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আসিফ জানান, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত’। তাঁর কথায়, “ভারত যা-ই শুরু করুক, আমরা তার প্রতিক্রিয়া জানাব—এটি হবে পরিমিত এবং প্রয়োজনীয়। তবে যদি তা সর্বাত্মক হামলায় গড়ায়, তাহলে যুদ্ধ অনিবার্য।”
এই স্বীকারোক্তি এবং হুঁশিয়ারি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু ইতিহাস পুনরুল্লেখ নয়, বরং বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির জটিলতার ইঙ্গিতও।
চাইলে আমি এটার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের একটা ক্রিয়েটিভ কপি বা ভিডিও স্ক্রিপ্টও বানিয়ে দিতে পারি।