আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বাংলা এফএম নিউজ:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে ভিয়েতনাম পৌঁছেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সস্ত্রীক হ্যানয়ে অবতরণের পর তার বিমান থেকে নামার মুহূর্তে ঘটে গেল একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ম্যাক্রোঁ। দরজার কাছে এসে হাসিমুখে দাঁড়ালেন, হাত বাড়ালেন পাশে—সম্ভবত স্ত্রী ব্রিজিতের উদ্দেশ্যে। কিন্তু আচমকা বিমানের দরজার আড়াল থেকে একটি লাল পোশাক পরিহিত হাত তার মুখ লক্ষ্য করে এগিয়ে আসে। মুহূর্তের মধ্যে বিভ্রান্ত হন ম্যাক্রোঁ। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে বিমানের সিঁড়ি বেয়ে নেমে যান তিনি।
ভিডিওতে সেই লাল হাতটি যিনি বাড়িয়েছেন, তিনিই ছিলেন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ, যাঁর পরনে সেসময় ছিল উজ্জ্বল লাল রঙের পোশাক। তবে ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা, না কি দাম্পত্য কলহের বহিঃপ্রকাশ—সেই প্রশ্নেই মেতেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অনেকেই মজা করে লিখেছেন, “এটি কী এক ধরণের ‘ভিয়েতনামী স্বাগত’?”
ফরাসি সংবাদমাধ্যম BFMTV জানিয়েছে, সফরে রওনা হওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ হয়েছিল। তবে তা ছিল সাধারণ পারিবারিক কলহ, যার রেশ থেকেই এই মুহূর্তে এমন আচরণ দেখা গেছে বলে দাবি ঘনিষ্ঠ সূত্রের।
এই ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা যতটা না সফর-সংক্রান্ত কূটনীতির ওপর হয়েছে, তার চেয়েও বেশি হয়েছে এই ভিডিও নিয়ে। রয়টার্স, দ্য টেলিগ্রাফসহ আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমেও এই ভিডিও শেয়ার হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিতের বয়সে পার্থক্য রয়েছে ২৫ বছর। ব্রিজিত ছিলেন ম্যাক্রোঁর স্কুলশিক্ষিকা, সেখান থেকেই শুরু হয় তাদের সম্পর্ক, যা পরবর্তীতে পরিণয়ে গড়ায়।
ভিডিওর শেষাংশে দেখা যায়, বিব্রত ম্যাক্রোঁ পরিস্থিতি সামলে নিচে নেমে আসেন এবং তাঁর স্ত্রী পাশেই থাকেন, যদিও তিনি ম্যাক্রোঁর বাড়ানো হাত ধরেননি—যা নিয়েও নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।