কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর আবারও মুখোমুখি অবস্থানে ভারত ও পাকিস্তান। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে পেহেলগাম শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বৈসরণ উপত্যকায় ভয়াবহ ওই হামলায় একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি কড়া সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সিন্ধু পানিচুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ, দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার, দুই দেশের হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তাদের সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা।
ভারতের এই সিদ্ধান্তগুলোকে ‘শিশুসুলভ’ বলে কটাক্ষ করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং পাকিস্তান তার প্রতিরক্ষা ও মর্যাদা রক্ষায় কোনও আপস করবে না।
ঘটনার পরপরই পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) জরুরি বৈঠক ডেকেছে। বৈঠকে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসলামাবাদ। এদিকে, বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।