যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি মূলত চীনকে লক্ষ্য করেই গৃহীত হচ্ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি দেশটি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছে যে, অর্থনীতিতে যেকোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং সম্প্রতি বেইজিংয়ে বিদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় মার্কিন শুল্ক নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বাড়ছে, তবে চীন বৈশ্বিক সহযোগিতা ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্যের নীতিতেই অটল থাকবে। তিনি আরও বলেন, চীন অপ্রত্যাশিত অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে এবং ন্যায়সঙ্গত অবস্থান বজায় রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্র ২ এপ্রিল থেকে চীনা আমদানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে পারে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক শুল্ক নীতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবেন।
ট্রাম্প এর আগে চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা দ্বিতীয় দফায় বেড়ে ২০ শতাংশে পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চীনের নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির ওপর এই শুল্কের উদ্দেশ্য তাদের ফেন্টানিল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা। ফেন্টানিল একটি কৃত্রিম মাদক, যা যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলেছেন, এ ধরনের নীতিতে কেউই লাভবান হবে না এবং চীনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারেন। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
এদিকে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর স্টিভ ডেইনসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ডেইনস আগে চীনে ব্যবসা করতেন এবং সম্প্রতি চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হ্য লিফেংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে ফেন্টানিলের উপাদান সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে আরও উচ্চপর্যায়ের আলোচনার সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে।