আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা সত্ত্বেও তারা পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ‘প্রয়োজনীয় উদ্যোগ’ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান সরকার।
যুদ্ধবিরতির পর পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে এ ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পারমাণবিক সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) মেহের নিউজের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানের তিন পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। উভয় দেশই দাবি করেছে তারা দেশটির পরমাণু কর্মসূচি ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে। তবে ইরানের দাবি ভিন্ন।
মোহাম্মদ ইসলামি বলেন, ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক হামলার পর ইরান তার পারমাণবিক শিল্পের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছে। এ ছাড়া এটি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও সেবার প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর দ্রুত পুনরুদ্ধারে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, ইস্পাহান ও নাতাঞ্জের পরমাণু পরিশোধন স্থাপনায় হামলা চালায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই হামলাকে ‘অসামান্য সামরিক সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেন। তবে হামলায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির এক উপদেষ্টা জানান, দেশটির কাছে এখনো পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের মজুত আছে। এখনো ‘খেলা শেষ হয়নি’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল সোমবার ইসরায়েল আবারও ফোরদোয় বিমান হামলার দাবি জানায়।
ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। ইরানও এতে সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরটি।
এ দিকে, আজ ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্টকে দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচ বলেন, ইরানের পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে হবে।