রোববার (২ মার্চ) ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে লন্ডনে এক সম্মেলনের পর জেলেনস্কি বলেছেন, এই চুক্তি এগিয়ে নিতে কিয়েভ প্রস্তুত আছে।
লন্ডন স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেছেন, অতীতে কী ঘটেছে তা সত্ত্বেও আমাদের নীতি হলো সামনে অগ্রসর হওয়া। আমরা গঠনমূলক, আমরা যদি এই চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে রাজি তাহলে আমরা এটি সই করতে প্রস্তুত। এবং সত্যি বলতে, আমি বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রও প্রস্তুত।
এ ছাড়া জেলেনস্কি জানান তার বিশ্বাস, ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা যাবে এবং ট্রাম্পের প্রশাসন কিয়েভের প্রতি সহায়তা বিচ্ছিন্ন করবে না।
ইউক্রেনীয় এই নেতা বলেছেন, আমি মনে করি আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। কারণ এটি নির্দিষ্ট একটি মুহূর্তে সম্পর্কের চেয়েও বেশি কিছু।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ নয় কিন্তু সবাই দেখতে পাচ্ছে কীভাবে মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য ইউক্রেন লড়াই করে। সেইসঙ্গে জেলেনস্কি স্বীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের ওপর ইউক্রেন নির্ভরশীল।
উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে একটি চুক্তি সই করতে হোয়াইট হাউসে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে সেইদিন সাংবাদিকদের সামনেই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে নজিরবিহীন বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এতে একপর্যায়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়। সেইসঙ্গে ভেস্তে যায় চুক্তি। তবে ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে সুর নরম করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। খবর আল জাজিরার।