মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ইরান তার সশস্ত্র বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রেখে শত্রুদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছে। তেহরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে, ইরান ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। এই নোটিশে বলা হয়েছে, যদি মার্কিন হামলায় এসব দেশ তাদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেয়, তবে সেটি শত্রুতামূলক আচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তার পরিণতি হবে গুরুতর।
এদিকে, ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে সরাসরি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করলেও, দীর্ঘদিনের চ্যানেল ওমানের মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে চায়। ইরান দাবি করছে, রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার জন্য পরোক্ষ আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দিতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৭ মার্চ খামেনির কাছে আলোচনার প্রস্তাব পাঠালেও, ৩০ মার্চ তিনি হুমকি দেন যে, আলোচনার ব্যর্থতার পর দুই সপ্তাহের মধ্যে ইরানের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে এবং চুক্তি প্রত্যাখ্যান করলে ইরানকে অভূতপূর্ব বোমা হামলার হুমকি দেন।
তবে খামেনি তার জবাবে বলেছেন, মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপে তিনি বিশ্বাস করেন না, তবে সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।