মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের ফোর্দো, নাটানজ এবং ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় সফল বিমান হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “সব মার্কিন বিমান এখন ইরানের আকাশসীমা থেকে ফিরে এসেছে” এবং এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
এই হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি ইরানে সামরিক অভিযানে অংশ নিল। ইতোমধ্যে ইসরায়েল টানা ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে আঘাত হানছে।
ইরান এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ডজনখানেক ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছুঁড়ে মারে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও বিস্তৃত ও জটিল আকার ধারণ করছে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে তার জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডকে ভর্ৎসনা করেছেন। তিনি গ্যাবার্ডের বক্তব্য—যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে এমন কোনো প্রমাণ নেই—তাকে “ভুল ও দায়িত্বজ্ঞানহীন” বলে অভিহিত করেছেন।
ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের ১৩ জুনের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন এবং ৩,০৫৬ জন আহত।
অন্যদিকে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার ইরানে মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলার একাধিক ছবি প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি পতাকার প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে রামাত গান শহরের এক ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের জানালায়—যেখানে ইরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।