ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বৃহস্পতিবার রাতে আরও বেড়েছে, যখন পাকিস্তান থেকে পরপর রকেট ও ড্রোন হামলায় কেঁপে ওঠে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো। জম্মু, সাম্বা, আরএস পুরা, আখনুর, এমনকি পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর ও অমৃতসর অঞ্চলেও সাইরেন বাজতে শুরু করে এবং ‘ব্ল্যাকআউট’ কার্যকর করা হয়। ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করে পাকিস্তানের ছোড়া অন্তত ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে জানা যায়।
জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে দুটি পাকিস্তানি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় এবং জম্মু শহরের মোবাইল নেটওয়ার্ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর ঘাঁটি এবং বিমানবন্দরে জরুরি সতর্কতা জারি হয়। একই সময়ে ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন জানায়, এর জবাবে ভারত লাহোরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায় এবং তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে। ভারতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ড্রোন ও মিসাইল আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে সব পুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং আরও সামরিক প্রস্তুতি চলছে।
এই সংঘাতের ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা, এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।
আপনি কি চান আমি এই ঘটনার আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বা শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনা নিয়েও তথ্য দিই?