থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে; ব্যাংককে উচ্চ ভবন ধসে বহু মানুষ আটকা পড়েছেন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন উচ্চ ভবন ধসে পড়ায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ জনে। দুর্ঘটনার পরপরই জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উদ্ধার কাজ শুরু করে।
থাই সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রগুলোকে উদ্ধার সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
### কী ঘটেছিল?

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভবনটি প্রায় ৩০ তলা উঁচু ছিল এবং এখনো নির্মাণাধীন ছিল। ধসের সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক ভেতরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ করেই ভবনটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে, ফলে বহু শ্রমিক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে যায়।
### উদ্ধার কাজের আপডেট
- এখন পর্যন্ত ৮১ জন নিখোঁজ রয়েছে।
- তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
- দ্রুত উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য কপিকল, খননযন্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
- সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারী দল একসঙ্গে কাজ করছে।
সরকারের পদক্ষেপ

থাইল্যান্ড সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে আটকে পড়া শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধার করা যায়।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা
একজন শ্রমিক জানান, “হঠাৎ বিকট শব্দ হলো, আমি দেখলাম চারপাশে ধুলা আর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে। আমার কয়েকজন সহকর্মী নিচে চাপা পড়ে গেছে।”
উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে, তবে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া শ্রমিকদের দ্রুত খুঁজে বের করতে আরও সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।