আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। সোমবার রাতে ইরান ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবে। এই হামলায় কেঁপে উঠে শহরজুড়ে, শুরু হয় সতর্কতা সাইরেনের বিকট শব্দ। আতঙ্কে রাত কাটান লাখো বাসিন্দা।
ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি তাদের সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে তীব্র এবং বড়সড় পাল্টা হামলা। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মূলত সামরিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা ঘাঁটি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। এতে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। অপরদিকে, ইরানে চালানো ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছেন ২২০ জন, যার মধ্যে ৭০ জন নারী ও শিশু।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্যে বলেছেন,
“এই সংঘাতের ইতি ঘটাতে হলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা করতে হবে।”
সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন,
“সবাই তেহরান ছেড়ে যান। আমি কোনোভাবে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হতে দিতে পারি না।”
এই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গাজা উপত্যকায়ও চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এ পর্যন্ত সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩২ জন, এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৯২৩ জন। অপরদিকে, ৭ই অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জন জিম্মিতে নেওয়া হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি যদি এভাবেই এগোয়, তবে তা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়— গোটা বিশ্বের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ফেলতে পারে।