রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষকে সেনা বাহিনীতে নিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যা ২০১১ সালের পর সবচেয়ে বেশি। এই আহ্বানটি রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসেছে। পুতিন এর আগে বলেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর মোট সংখ্যা প্রায় ২.৩৯ মিলিয়ন এবং সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন করতে হবে, যা আগামী তিন বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার সৈন্য বৃদ্ধি হবে।
ভাইস অ্যাডমিরাল ভ্লাদিমির তসিমলিয়ানস্কি জানিয়েছেন, নতুন সেনারা ইউক্রেনে রাশিয়ার “বিশেষ সামরিক অভিযান” এ অংশ নেবেন না। তবে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কিছু সৈন্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এবং পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম মাসগুলোতে তাদেরকে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছিল।
এই সামরিক আহ্বান এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১০,০০০ বেশি। গত বছর থেকে সেনাবাহিনীর জন্য প্রস্তুত পুরুষদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, এবং সর্বোচ্চ বয়স ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। আহ্বান পত্রটি ডাকযোগে পাঠানো হয়, পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সেবা ওয়েবসাইট গোসুসলুগি থেকেও নোটিফিকেশন পাঠানো হয়।
এই দ্বিবার্ষিক আহ্বানের পাশাপাশি, রাশিয়া বড় পরিসরে চুক্তিভিত্তিক সৈন্যদেরও আহ্বান করেছে এবং উত্তর কোরিয়া থেকে হাজার হাজার সৈন্য নিয়োগ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতির পর এই আহ্বানটি এসেছে, যার মধ্যে ১ লাখেরও বেশি সৈন্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুতিন ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর আকার তিনবার বাড়িয়েছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনী বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং ন্যাটোর “বিস্তৃতি” উল্লেখ করেছে। ন্যাটো সম্প্রতি ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে, যা রাশিয়ার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতেরি অর্পো মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সঙ্গে যোগ দেয়ার পর, আক্রমণাত্মক যুদ্ধের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর বাজেট ২.৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে বাড়ানো হবে।