যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর ‘অত্যন্ত ক্ষুব্ধ’ এবং ‘রেগে’ থাকার কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সপ্তাহব্যাপী আলোচনার পর পুতিনের মনোভাবের কারণে তিনি এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
NBC নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি পুতিনের ওপর ক্ষুব্ধ কারণ রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিরও হুমকি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “যদি রাশিয়া এবং আমি ইউক্রেনের রক্তপাত বন্ধে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারি, এবং যদি আমি বুঝি এটি রাশিয়ার দোষ – যা হতে পারে বা নাও পারে… তাহলে আমি রাশিয়া থেকে রপ্তানি হওয়া সমস্ত তেলের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করবো।”
রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প
ট্রাম্পের এই মন্তব্য তার আগের অবস্থান থেকে কিছুটা ভিন্ন। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় তিনি বেশ কয়েকবার পুতিনের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছিলেন এবং জেলেনস্কির ওপর চাপে রেখেছিলেন।
NBC জানায়, ট্রাম্প ওভাল অফিসে গত ছয় সপ্তাহ ধরে জেলেনস্কিকে চুক্তিতে রাজি করানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। কিন্তু এবার তিনি সরাসরি পুতিনকে দায়ী করে তার অর্থনীতিতে আঘাত হানার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “পুতিন যখন জেলেনস্কির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, তখন আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছি, রাগান্বিত হয়েছি। কারণ এটি সঠিক পথে এগোচ্ছে না।”
তবে ট্রাম্প এটাও বলেছেন যে তিনি এখনও পুতিনের সঙ্গে “ভালো সম্পর্ক” বজায় রাখতে চান এবং যদি রাশিয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তার রাগ দ্রুত কমে যাবে।
রাশিয়ার তেলের ওপর নতুন শুল্কের ঘোষণা
যদি রাশিয়া যুদ্ধবিরতি না করে, তবে ট্রাম্প রাশিয়ার অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমি রাশিয়ার তেলের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপ করবো, এবং যারা রাশিয়ার তেল কিনছে তাদের ওপরও শুল্ক বসবে।”
“রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা দেশগুলোর পণ্যের ওপর ৫০% পর্যন্ত শুল্ক বসানো হতে পারে,” বলেন ট্রাম্প।
রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন ও ভারত। তাই ট্রাম্পের এই ঘোষণায় তাদের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়তে পারে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এ সপ্তাহের শেষের দিকে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এখন দেখার বিষয়, তার এই কঠোর অবস্থানের পর রাশিয়া কী প্রতিক্রিয়া দেখায়।