প্রকাশকাল: ২১ জুলাই ২০২৫ চেলটেনহ্যাম, যুক্তরাজ্য –
মার্কিন টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় উপস্থাপক ও কমেডিয়ান এলেন ডি জেনেরেস অবশেষে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ জানালেন। রোববার চেলটেনহ্যাম শহরের একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এলেন বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনের পরদিনই তিনি ও তাঁর স্ত্রী পোরশিয়া ডি রোসি ইংল্যান্ডে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
🗨️ “আমরা এখানেই থাকব” – এলেন
৬৭ বছর বয়সী এলেন বলেন,
“আমরা শুধু ৩-৪ মাস থাকার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু পরদিনই খবর পেলাম ট্রাম্প আবার জয়ী হয়েছে। বন্ধুরা কান্নার (সোশ্যাল মিডিয়া) ক্যাপশন পাঠাচ্ছিল। আমি বললাম, ‘আমরা এখানেই থাকব।’”
বর্তমানে তিনি বসবাস করছেন ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চল কটসওল্ডসে। এলেন বলেন,
“এখানে পরিবেশ, সৌন্দর্য, পরিচ্ছন্নতা আর মানুষের ভদ্রতা—সবকিছুই অন্যরকম। আমরা যেন এক নতুন, সরল জীবনে ফিরে গেছি।”
সমকামী অধিকারে উদ্বেগ: “আমেরিকা এখনো ভীতিকর”
যুক্তরাষ্ট্রে সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি অধিকার ফের বাতিলের প্রচেষ্টা এলেন ও পোরশিয়ার উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
“আমরা ইতিমধ্যেই ভাবছি—যদি আমেরিকায় সমলিঙ্গ বিবাহ নিষিদ্ধ হয়, তাহলে আমরা ইংল্যান্ডে আবার বিয়ে করব।”
তিনি বলেন,
“এখনো এমন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন যারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখেন, কারণ ভয় এখনো আছে। আমি চাই মানুষ যেন নিজের পরিচয় নিয়ে নির্ভয়ে বাঁচতে পারে।”
দ্য এলেন শো ও বিতর্ক
২০২২ সালে কর্মীদের প্রতি আচরণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে “দ্য এলেন ডি জেনেরেস শো” বন্ধ হয়ে যায়। এলেন বলেন,
“আমি সব সময়ই সোজাসাপ্টা কথা বলি। কিন্তু অনেকে সেটাকে রূঢ়তা হিসেবে নিয়েছে। আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি।”
তিনি বিষয়টি ২০২৪ সালে তাঁর শেষ স্ট্যান্ড-আপ ট্যুর এবং নেটফ্লিক্স স্পেশালেও ব্যাখ্যা করেছেন।
দুইবার শোবিজনেস থেকে ‘ছিটকে পড়া’
এলেন স্মরণ করেন,
“প্রথমবার ছিল ১৯৯৭ সালে, যখন আমি সমকামী হিসেবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করি। তখন বিজ্ঞাপনদাতারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, শো বাতিল হয়। এটা ছিল খুবই কঠিন সময়।”
তবুও তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের মানুষগুলো অনেক বেশি মুক্তচিন্তাশীল এবং আশাব্যঞ্জক।
“এই গ্রাম্য, মেঘলা ব্রিটেনেই শান্তি খুঁজে পেয়েছি”
তাঁর মতে, এই সরল, প্রাকৃতিক পরিবেশে জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
“আমার মনে হয়, নিরাপত্তা, ভালোবাসা আর শান্তি—এই জিনিসগুলো এখন আমি ব্রিটেনেই বেশি পাই।”