ঢাকা, ৩ মার্চ ২০২৫: যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্প্রতি করা এক মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা করেছেন। গত সপ্তাহে, জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের শেষ “এখনও খুবই দূরে”, যা ট্রাম্পের কাছে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, জেলেনস্কির এই ধরনের বক্তব্য কেবল যুদ্ধের দীর্ঘায়ন ঘটাবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আরও কমিয়ে দেবে।
সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে, জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং যুদ্ধের সমাপ্তি এখনও অনেক দূরে। আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে।” তার এই বক্তব্যে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “জেলেনস্কি শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা না বলে যুদ্ধের দীর্ঘায়নের পক্ষে কথা বলছেন। একজন রাষ্ট্রনেতার উচিত ছিল ইউক্রেনের জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তার কথা ভাবা, তবে তার পরিবর্তে তিনি একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কথা বলছেন।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “এই ধরনের বক্তব্য কেবল ইউক্রেনের জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে। তাকে শান্তির জন্য কাজ করতে হবে, যাতে যুদ্ধের সমাপ্তি দ্রুত আনা যায়।” তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ যদি আরও দীর্ঘায়িত হয়, তবে শুধুমাত্র ইউক্রেনই নয়, বরং পুরো পৃথিবীই এর ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করবে।”
জেলেনস্কির মন্তব্যের পর, ট্রাম্প তার প্রাক্তন প্রশাসনের সময় ইউক্রেনের জন্য কীভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল সে বিষয়েও কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, “আমি যদি আবার প্রেসিডেন্ট হই, আমি ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা দ্রুত শুরু করব, যাতে যুদ্ধের অবসান ঘটানো সম্ভব হয়।”
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার দেশের জন্য অধিক সমর্থন ও সাহায্য সংগ্রহ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি আগেও বলেছেন, “যুদ্ধের শেষের সম্ভাবনা অল্প, তবে এটি আমাদের কেবলমাত্র সাহসিকতার মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে।”
বিশ্ব সম্প্রদায় এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইউক্রেনের জন্য সঠিক শান্তি চুক্তি একমাত্র বিকল্প, তবে সেই চুক্তি করতে হলে দুই পক্ষের সম্মতি প্রয়োজন। ট্রাম্পও তার বক্তৃতায় বলেছেন, “যুদ্ধ যদি আরও দীর্ঘায়িত হয়, তবে শান্তির জন্য আলোচনার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে এবং আমাদের সবার জন্য তা ভয়াবহ হবে।”
এদিকে, অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, যদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আরও বাস্তবিকভাবে কথা বলেন, তবে তার দেশের জনগণের জন্য দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতে পারে। তবে রাজনৈতিক মহলের মধ্যে ট্রাম্পের সমালোচনা এবং জেলেনস্কির আপেক্ষিক মন্তব্যের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।