সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মৌখিক আক্রমণের ঘটনায় ডেমোক্র্যাটরা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সিনেট ডেমোক্র্যাটিক নেতা চাক শুমার সিনেট ফ্লোরে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, “ট্রাম্পের মন্তব্য একেবারে রাশিয়ার প্রচারযন্ত্রের মতো শোনাচ্ছে।” তিনি এটিকে “জঘন্য” বলে আখ্যা দেন এবং বলেন, “একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে এবং একজন স্বৈরাচারী শাসকের (ভ্লাদিমির পুতিন) পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
তবে, ডেমোক্র্যাটদের হাতে বেশি কিছু করার সুযোগ নেই, কারণ রাজনৈতিক ভারসাম্য এখন রিপাবলিকানদের পক্ষে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের এক মাস পরেও একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, যা বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া জানানো কঠিন করে তুলছে।
রিপাবলিকানদের সামনে কঠিন প্রশ্ন
প্রশ্ন হলো, রিপাবলিকানরা কী করবে?
গত কয়েক বছর ধরে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা উভয় দলই সমর্থন করেছিল। এমনকি, অনেক রিপাবলিকানও ইউক্রেনপন্থী অবস্থান বজায় রেখেছেন। সিনেটর থম টিলিস ট্রাম্পের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, “ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে কোনো নৈতিক সমতা নেই।”
কিন্তু রিপাবলিকানরা কীভাবে তাদের প্রো-ইউক্রেন অবস্থান এবং ট্রাম্পের প্রতি আনুগত্যের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখবে?
বেশিরভাগ রিপাবলিকান এখন কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করছে, তারা জোর দিয়ে বলছেন যে “ট্রাম্প শান্তি চান”, তবে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে চাচ্ছেন না।
কিন্তু যদি ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেন, তাহলে কি কিছু রিপাবলিকানের জন্য সেটি ‘রেড লাইন’ হবে? এখনো এটি স্পষ্ট নয়, তবে ট্রাম্পের এই অবস্থান রিপাবলিকান শিবিরে নতুন বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।