ওয়াশিংটন/মস্কো – যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ দেশটি ইউক্রেনের প্রতি সামরিক সহায়তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিতর্কের মুখোমুখি হচ্ছে। একই সঙ্গে, রাশিয়া স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছে যে ইউক্রেনে পশ্চিমা বা ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা হলে তা যুদ্ধের তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইউক্রেনের সমালোচনা কমানোর আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন একটি অংশ মনে করছে যে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার বিষয়ে খুব বেশি চাপ দিচ্ছে, যা ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক বিতর্ককে আরও উত্তপ্ত করছে। মাইক ওয়াল্টজ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,
“ইউক্রেনের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা কমানো এবং কূটনৈতিক উপায়ে আরও বেশি সমর্থন আদায়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া।”
এই মন্তব্য ট্রাম্পের পরামর্শদাতা দলের পক্ষ থেকে এসেছে, যারা ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন নীতির সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিশেষ করে যদি ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হন।
ন্যাটো সেনা মোতায়েন নিয়ে রাশিয়ার সতর্কবার্তা
অন্যদিকে, রাশিয়া ন্যাটো সেনা ইউক্রেনে প্রবেশ করলে তা সরাসরি সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন,
“যদি ইউক্রেনে কোনো পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা হয়, তবে এটি রাশিয়ার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে উঠবে এবং আমাদের প্রতিক্রিয়া কঠোর হবে।”
এটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইউক্রেনের অবকাঠামো রক্ষার জন্য একটি “নিশ্চয়তা বাহিনী” গঠনের পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ইউক্রেনের বন্দর, বিমানবন্দর এবং শহরগুলোতে প্রতিরক্ষা জোরদার করা হবে।
পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ দিক
এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইউক্রেন যুদ্ধ আরও জটিল হতে পারে, বিশেষ করে যদি ন্যাটো সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। মার্কিন রাজনীতিতে ইউক্রেনকে সহায়তা করা নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে, এবং ট্রাম্পের উপদেষ্টারা বিষয়টি আরও কূটনৈতিকভাবে সামলানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে, রাশিয়া যে কোনো নতুন সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত বলেই মনে হচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্ব কীভাবে এই উত্তেজনা সামাল দেবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।