যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে অবস্থানরত শত শত শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করছে।
‘ইনসাইড হায়ার এডুকেশন’ নামের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষণা ও তথ্যভিত্তিক সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহেই একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থীর ভিসা হঠাৎ করেই বাতিল করা হয়েছে। শুধু গত এক মাসেই দেশটির ৪৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অন্তত ১৪৭ জন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে, যার অধিকাংশই হয়েছে মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শুধু ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান বা মতামত নয়, বরং তুচ্ছ কোনো কারণেও শিক্ষার্থীরা এই কঠোর পদক্ষেপের মুখে পড়ছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিদেশি স্নাতক শিক্ষার্থী গাড়ি চালানোর সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করায় আটক হন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্তৃক পরিচালিত একটি কেন্দ্রে আটক রয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনেক শিক্ষার্থী এমনকি জানতেও পারছেন না যে, তাদের ভিসা বাতিল হয়েছে। ভিসা বাতিলের ঘটনায় কোনো প্রকাশ্য ঘোষণা না দেওয়ায় এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। ফেডারেল কলেজগুলোর অনেকেই সমালোচনার ভয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরাসরি জানাতে বিরত থাকছেন।
এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদরা। তাঁদের মতে, শিক্ষা অর্জনের অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি, এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এক অনিরাপদ গন্তব্যে পরিণত করতে পারে।