ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার জানান, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দারা ১৫৫ জন চীনা নাগরিককে শনাক্ত করেছে, যারা রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে। তার আগে ইউক্রেন জানিয়েছিল, পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রে তারা দুই চীনা নাগরিককে আটক করেছে।
জেলেনস্কির দাবি, এই চীনা নাগরিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, এমনকি চীনের সোশ্যাল মিডিয়াতেও এমন প্রচারণা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা রাশিয়ায় পৌঁছায়, সেখানে ৩-৪ দিন মেডিকেল পরীক্ষা হয়, এরপর ১-২ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধে অংশ নেয়।”
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে “ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চীনা সরকার সবসময় নাগরিকদের যেকোনো সশস্ত্র সংঘাতে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।”

জেলেনস্কির দেওয়া একটি তালিকায় দাবি করা হয়েছে, যেসব চীনা নাগরিক রাশিয়ান বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, তাদের অনেকেই নিচের সারির সামরিক পদে রয়েছেন। তালিকায় ২০২৪ সালের তারিখে চুক্তিবদ্ধ নামও রয়েছে। তবে তালিকার সত্যতা নিশ্চিত করেনি স্বাধীন কোনো সূত্র।
ইতিমধ্যে আটক এক চীনা নাগরিকের বরাতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তিনি রাশিয়ান নাগরিকত্ব পাওয়ার উদ্দেশ্যে চীনে একজন দালালের মাধ্যমে ৩ লাখ রুবল (প্রায় ৩,৫০০ ডলার) দিয়ে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাকে লুহানস্ক অঞ্চলের রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ভাষাগত বাধা কাটাতে তারা অঙ্গভঙ্গি ও মোবাইল অনুবাদক ব্যবহার করতেন।
জেলেনস্কি বলেন, চীনা সরকারের প্রত্যক্ষ কোনো নির্দেশনা ছিল কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা বিষয়টি তদন্ত করছে। আটক চীনা নাগরিকদের বিনিময়ে ইউক্রেন তাদের নিজ দেশের যুদ্ধবন্দিদের ফেরত নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
এদিকে রাশিয়া ও চীন—উভয় দেশই এই বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে বিরত থেকেছে বা তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে।