গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘর্ষে মানবিক বিপর্যয় ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত ১৮ মাসে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১৭ হাজারই শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, এই সময়ে গাজার ৯০ শতাংশের বেশি জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

নিরবচ্ছিন্ন বোমা বর্ষণ ও সামরিক অভিযান গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অবকাঠামো প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। খাবার, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। মানবিক সহায়তা পৌঁছানো দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
গেল মার্চে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের পর সংঘাত নতুন মাত্রায় পৌঁছায়। দক্ষিণ গাজার রাফা অঞ্চলে ‘মোরাখ নিরাপত্তা কোরিডোর’ স্থাপন করে ইসরায়েল, এবং সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। হামলার ভয়ে গাজার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছে সাধারণ মানুষ, তবে নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে তারা চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
৩০৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই ক্ষুদ্র ভূখণ্ডটি এখন কার্যত এক বিশাল শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়েছে। চলমান এই পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘গভীর উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিলেও, এখনও কার্যকর কোনো রাজনৈতিক সমাধান দৃশ্যমান নয়।
বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন গাজার দিকে—যেখানে প্রতিদিনই ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবিক সংকটের নতুন অধ্যায় রচিত হচ্ছে।