আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১০০ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের মধ্যে ৬ জন শিশু রয়েছে। পরিবারটি গাজার সাবরা এলাকায় বসবাস করত।
রোববার (৮ জুন) গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ইসরাইলি বিমান বাহিনী হামলার আগে কোনো সতর্ক সংকেত দেয়নি। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল জানান, ‘এটা ছিল পুরোপুরি ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা। নিহতদের সবাই বেসামরিক, তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, শনিবারের ওই হামলায় এখনো অন্তত ৮৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে টানা বোমাবর্ষণের কারণে।
অন্যদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তাদের টার্গেট ছিল হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের অন্তর্ভুক্ত মুজাহিদিন ব্রিগেডের প্রধান আসাদ আবু শারিয়া। তাকে লক্ষ্য করেই বিমান অভিযান চালানো হয়।
গত ১৭ মাসে ইসরাইলি বাহিনীর টানা অভিযান ও হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৩০ জন। নিহত ও আহতদের মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, আন্তর্জাতিক পরিসরে এ নিয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। গাজার মানুষের ঈদ তাই এবারও কাটছে ধ্বংস, রক্ত এবং বেদনায়।