আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ায় একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালাল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের গায়ে ভারত-বিরোধী স্লোগান লিখে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনায় মুখ খুলেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে। অবশ্য এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়ার বৃহত্তম মন্দির হল বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দির। আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সেই মন্দিরে গিয়ে ভক্তেরা দেখেন নানা জায়গা ভেঙেচুরে দেওয়া হয়েছে এবং ভারত-বিরোধী আপত্তিকর স্লোগান লেখা হয়েছে। তার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শনার্থীরা। সমাজমাধ্যমেও প্রতিবাদ জানান অনেকে। এই ঘটনার পরেই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে লেখেন,
“ক্যালিফর্নিয়ার চিনো হিলসে একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। আমরা কঠোর ভাবে এই কাজের নিন্দা করছি। স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা অনুরোধ করছি যে, এই কাজের জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হোক এবং ধর্মস্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হোক।” আরও পড়ুন: test ১৫ দিন পর তেলঙ্গানায় সুড়ঙ্গে মিলল এক শ্রমিকের দেহ, এখনও সন্ধান নেই সাত জনের test দেওয়ালের সুইসাইড নোটে নাম, ১০ লক্ষ ঋণ পাইয়ে ‘কমিশন’! কসবায় গ্রেফতার আরও এক এই ভাঙচুরের ঘটনায় খলিস্তানপন্থীদের হাত থেকে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক দিন পরেই লস অ্যাঞ্জেলস শহরে খলিস্তানের সমর্থনে গণভোট করার কথা খলিস্তানপন্থীদের। তার আগে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনাকে অন্য ভাবে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।
ক্যালিফর্নিয়ার চিনো হিলসে অবস্থিত বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত ও আমেরিকার বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই মন্দিরটি দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়ার বৃহত্তম হিন্দু মন্দির হিসেবে পরিচিত। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা মন্দিরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায় এবং মন্দিরের গায়ে ভারত-বিরোধী স্লোগান লিখে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এবং ভক্তরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা স্থানীয় প্রশাসনকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, “ক্যালিফর্নিয়ার চিনো হিলসে একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। আমরা কঠোরভাবে এই কাজের নিন্দা করছি। স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা অনুরোধ করছি যে, এই কাজের জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হোক এবং ধর্মস্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হোক।”
এই ঘটনায় খলিস্তানপন্থীদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েক দিন পরেই লস অ্যাঞ্জেলস শহরে খলিস্তানের সমর্থনে গণভোট করার কথা রয়েছে খলিস্তানপন্থীদের। এই প্রেক্ষাপটে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনাকে তাদের কার্যকলাপের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে এবং মন্দিরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনায় সমাজমাধ্যমেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, যেখানে অনেকেই এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনও এই ঘটনায় তাদের উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।