সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি বক্তব্যে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি লাতাকিয়া ও টারটৌসের উপকূলীয় শহরগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে শত শত মানুষের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
“আমরা উপকূলীয় অঞ্চলে ঘটিত ঘটনাগুলির বিষয়ে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের ঘোষণা করছি এবং একটি উচ্চতর কমিটি প্রতিষ্ঠা করছি,” বলেন আল-শারা। এটি তার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া একটি ভাষণের অংশ, যা দেশব্যাপী চলমান সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ছিল।
বিশেষ গুরুত্ব সহকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি আরও জানিয়েছে যে, একটি “স্বাধীন কমিটি” গঠিত হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হল “নাগরিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্ত করা এবং দোষীদের চিহ্নিত করা”।
- কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তদন্তে যেকোনো উপযুক্ত ব্যক্তিকে কাজে লাগানো হবে এবং “কমিটি তার রিপোর্ট এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে,” বলা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি থেকে।
- প্রেসিডেন্ট আল-শারা তার বক্তব্যে বলেছেন, “দেশটি এখন গৃহযুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তবে আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছি।” তিনি আরও বলেন, “পূর্বের সরকারের অবশিষ্টাংশের কোনও বিকল্প নেই, তারা অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করুক এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার অ্যাকশন গ্রহণ করব।”
এছাড়াও, সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি ঘোষণা করেছে যে, তদন্তে যে কোনও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দলকে দায়ী করা হবে এবং তাদের বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হবে।
এই ঘটনা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, এবং এর পরবর্তী ফলাফল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
আপনার মতামত কী? এই সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সিরিয়ার ভবিষ্যত কী হতে পারে? ⬇️