ইরান কর্তৃপক্ষ দেশটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগে দুই ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করেছে। এই ঘটনায় যুক্তরাজ্য এবং ইরানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন আটক করা হয়েছে?
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আটককৃত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে “গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের” অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
তেহরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এই দুই ব্যক্তি “অবৈধ কার্যকলাপে” জড়িত ছিলেন এবং তাদের কর্মকাণ্ড ইরানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
যুক্তরাজ্যের প্রতিক্রিয়া
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে, তারা এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তাদের কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আটককৃত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন, তা করব।”
ইরানে বিদেশি নাগরিক আটকের অতীত রেকর্ড
ইরান এর আগেও একাধিকবার বিদেশি নাগরিকদের আটক করেছে, বিশেষ করে দুই নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিদের। পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, ইরান প্রায়শই বিদেশি নাগরিকদের “কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার” হিসেবে ব্যবহার করে।
গত বছর ফরাসি ও সুইডিশ নাগরিকসহ বেশ কয়েকজন ইউরোপীয়কে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করেছিল ইরান।
কূটনৈতিক উত্তেজনার সম্ভাবনা
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা যুক্তরাজ্য ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও খারাপ করতে পারে। বিশেষ করে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান আন্তর্জাতিক অস্থিরতার মধ্যে এই ধরনের ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তরাজ্য সরকার এই দুই নাগরিককে মুক্ত করতে কী পদক্ষেপ নেবে? এবং ইরান কি পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখে তাদের মুক্তি দেবে? পরিস্থিতির অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।