যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য প্রস্তুত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে ব্রিটিশ সেনা পাঠাতে তিনি প্রস্তুত, কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দেখাতে চান যে, সংঘাতের সমাধানে ইউরোপীয় দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা উচিত।
স্টারমার রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার জন্য এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আগ্রাসন থেকে বিরত রাখার জন্য ব্রিটিশ সেনাদের ভূমিকা প্রয়োজন হতে পারে। তবে তিনি সাফ জানিয়েছেন যে, ব্রিটিশ সেনাদের ক্ষতি করতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেননি। বরং, এটি একটি জরুরি পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইউক্রেন এবং ইউরোপের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় পুতিন শান্তির বিষয়ে কতটা গুরুত্ব দেন, তা যাচাইয়ের সুযোগ রয়েছে। কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধ শেষের পর কোনো সাময়িক বিরতি নয়, বরং একটি স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে নিজস্ব সেনা মোতায়েন করার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, ব্রিটিশ সেনাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলার গুরুতর দায়িত্ব তিনি গভীরভাবে অনুভব করেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে প্যারিসে যোগ দেবেন। এ আলোচনায় স্টারমারের উপস্থিতির ব্যাপারে আলোচনা চলছে, যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বয়ে ভবিষ্যতের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স