ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ চলমান সংঘাত প্রসঙ্গে জানান, ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে ইরান আত্মরক্ষার্থে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে, তবে আপাতত তারা শুধু ইসরায়েলি ভূখণ্ডকেই লক্ষ্যবস্তু করছে।
তিনি বলেন, “আমরা একটি গণহত্যাকারী শাসনের দ্বারা আক্রান্ত এবং আত্মরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করব। এখন পর্যন্ত আমরা শুধুমাত্র দখলকৃত ভূমির ভেতরে অবস্থিত সামরিক ও নিরাপত্তা ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।”
বাঘাঈ আরও বলেন, “আমাদের আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে এবং তারা জানে ইসরায়েল কীভাবে এই যুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছে। আমরা নিশ্চিত যে যেসব আরব দেশ মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে, তারা তাদের ভূখণ্ড মুসলিম প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।”
তিনি আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “কোনো দেশের অনুমতি ছাড়া তৃতীয় কোনো পক্ষ অন্য দেশের বিরুদ্ধে সেই দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে পারে না। আমাদের বিশ্বাস, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে তারা এমন কোনো সুযোগ তৃতীয় পক্ষকে দেবে না।”
ইরান সরকার মনে করে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষা, এবং তারা সেই উদ্দেশ্যেই ‘দায়িত্বশীল ও হিসেব করে’ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।