Bangla FM
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • কলাম
  • ভিডিও
  • অর্থনীতি
  • ক্যাম্পাস
  • আইন ও আদালত
  • প্রবাস
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • মতামত
  • লাইফস্টাইল
No Result
View All Result
Bangla FM

সংশোধিত ওয়াকফ বিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপ ও মিম নেতারা: ধর্মীয় অধিকার খর্বের অভিযোগ

Bangla FMbyBangla FM
3:20 pm 05, April 2025
in বিশ্ব, বিশ্বজুড়ে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ
A A
0

নয়াদিল্লি, ৫ এপ্রিল:

মুসলিমদের অধিকার খর্ব হচ্ছে’! সুপ্রিম কোর্টে মামলা দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা বিধায়কের

নয়া ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক আমানতুল্লাহ খান। কেন্দ্রের সদ্য পাস করা সংশোধিত ওয়াকফ বিলকে ‘মুসলিমদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।

🗣️ আমানতুল্লাহ খান বলেন, “এই আইন নির্বিচারে ওয়াকফের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ দিচ্ছে। সংখ্যালঘুরা তাদের ধর্মীয় এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকার হারাতে বসেছে।”

এর আগেই এই বিলের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মিম নেতা ও সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

🔍 কী আছে নতুন ওয়াকফ আইনে?

নতুন আইনের অধীনে কোনও জমি ওয়াকফ সম্পত্তি কি না, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন। এতদিন এই অধিকার ছিল শুধুমাত্র ওয়াকফ বোর্ডের হাতে।

সরকারের দাবি, বোর্ডের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।
কিন্তু বিরোধীদের মতে, এটা সংখ্যালঘু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা।

📊 ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি কতটুকু?

ভারতের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, রেল ও প্রতিরক্ষা দফতরের পর ওয়াকফ বোর্ডই দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ জমির মালিক। মোট জমির পরিমাণ ৩৯ লক্ষ একরের কাছাকাছি। ২০১৩ সালে ইউপিএ সরকারের সময় আইন সংশোধনের মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

👁️ এখন কী হতে পারে?

বিলটি ইতিমধ্যেই সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষায়। যদি এটি আইনে পরিণত হয়, তাহলে বোর্ডের প্রশাসনিক ক্ষমতা কার্যত খর্ব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অবশ্য আমানতুল্লাহ খান ও অন্যান্য নেতারা আশা করছেন, সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ সফল হবে।ভারতের সংসদে সদ্য পাস হওয়া সংশোধিত ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে মুসলিম সম্প্রদায় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। এবার দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আপ বিধায়ক আমানতুল্লাহ খানও একই পথে হাঁটলেন।

‘ধর্মীয় অধিকার খর্ব হচ্ছে’— সুপ্রিম কোর্টে আপ চ্যালেঞ্জ

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সংশোধিত ওয়াকফ বিলের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন আমানতুল্লাহ খান। তাঁর অভিযোগ, নতুন আইনটি মুসলিমদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন—
“এই বিল নির্বিচারে ওয়াকফের উপর হস্তক্ষেপ করে। সংখ্যালঘুরা তাঁদের ধর্মীয় এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকার হারাচ্ছে।”

সংসদে পাস হওয়া বিল: কী পরিবর্তন এনেছে সরকার?

উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে বোর্ডের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০২5 সালের সংসদীয় সংশোধনী অনুযায়ী—

  • ওয়াকফ সম্পত্তির মালিকানা ও স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক বা সমমর্যাদার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে।
  • ওয়াকফ বোর্ডের একচ্ছত্র ক্ষমতা খর্ব করে সরকারী হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
  • স্থানীয় প্রশাসনের হাতে উঠে যাচ্ছে মসজিদ, দরগা, কবরস্থান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কর্তৃত্ব।

সংসদে বিতর্ক এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

বিলটি পাস হওয়ার সময় সংসদের উভয় কক্ষে দীর্ঘ বিতর্ক হয়। বিরোধী দলগুলো এই বিলকে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, এটি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার ও স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করছে।

মিম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেন—
“এই বিল মুসলিমদের মৌলিক অধিকার হরণ করছে। এটি সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের বিরোধী।”

ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি: বিতর্কের কেন্দ্রে বিশাল সম্পদের মালিকানা

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেল ও প্রতিরক্ষা বিভাগের পর ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক হচ্ছে ওয়াকফ বোর্ড। ২০১৩ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের অধীনে সংশোধনের মাধ্যমে বোর্ডের ক্ষমতা বাড়ানো হলে জমির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানান,
“১৯১৩ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে ছিল ১৮ লক্ষ একর জমি। ২০১৩ সালের সংশোধনের পর ২০২৫ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ লক্ষ একরে।”
তিনি এটিকে “আইনের অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতা” বলে অভিহিত করেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ ও উদ্বেগ

বর্তমানে বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেই এটি আইনে পরিণত হবে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বিল নিয়ে তীব্র উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও স্বাধিকার খর্বের আশঙ্কায় ধর্মীয় নেতারাও সরব হয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই বিল আইনে পরিণত হয়, তবে ভবিষ্যতে দেশে সংখ্যালঘু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ আরও বেড়ে যাবে, যা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

ShareTweetPin

সর্বশেষ

মেটা আনছে বড় পরিবর্তন, প্রভাব আচরণে ও মনিটাইজেশনে

October 13, 2025

৭ দাবিতে দেশব্যাপী ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাগপা

October 13, 2025

উদ্ভাবননির্ভর প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিন অর্থনীতিবিদ

October 13, 2025

কাপাসিয়ায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

October 13, 2025

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা

October 13, 2025

দিনাজপুর বীরগঞ্জে সহকারী শিক্ষককে একই দিনে অনুপস্থিত ও সাসপেন্ড, এলাকাবাসীর মানববন্ধন

October 13, 2025

প্রকাশক: আনোয়ার মুরাদ
সম্পাদক: মো. রাশিদুর ইসলাম (রাশেদ মানিক)
নির্বাহী সম্পাদক: মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ

বাংলা এফ এম , ১৬৪/১, মোহাম্মাদিয়া হাউসিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ

ফোন:  +৮৮ ০১৮১১-২৭৪০১৫
ইমেইল: banglafm@bangla.fm

  • Disclaimer
  • Privacy
  • Advertisement
  • Contact us

© ২০২৫ বাংলা এফ এম

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist

No Result
View All Result
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • প্রবাস
  • ভিডিও
  • কলাম
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • ক্যাম্পাস
  • আইন ও আদালত
  • চাকুরি
  • অপরাধ
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • ইতিহাস
  • ফটোগ্যালারি
  • ফিচার
  • মতামত
  • শিল্প-সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়

© ২০২৫ বাংলা এফ এম