আজকাল ভ্রমণে গেলে প্রায় সবাই ছবি তোলার ব্যস্ততায় থাকেন। অনেক সময় মনে হয়, মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় ছবি তোলা, মুহূর্ত উপভোগ নয়। কিন্তু সুখী দম্পতিরা এ ব্যাপারে আলাদা—they ছবি তোলেন কম, তোললেও সবসময় শেয়ার করেন না।
সুখী দম্পতিরা বিশ্বাস করেন, সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো নিজেদের মধ্যে উপভোগ করা উচিত। বিশেষ মুহূর্তগুলো সবার সঙ্গে ভাগ না করে একান্তে উপভোগ করলে তা আরও অন্তরঙ্গ ও অর্থবহ হয়। সামাজিক স্বীকৃতি নয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়াই সম্পর্কের ভিত্তি।
তারা মনে করেন, প্রতিটি মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার তাগিদ আসল আনন্দকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। তাই নিখুঁত ছবি বা পোস্টের পেছনে সময় নষ্ট না করে একসঙ্গে কাটানো সময় উপভোগ করা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অন্তরঙ্গ কথোপকথন ও নিঃস্বার্থ হাসিতেই সম্পর্কের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে।
সুখী দম্পতিরা ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আটকে থাকেন না। চোখে চোখ রেখে কথা বলা, মন খুলে হাসা বা নীরবে হাত ধরা—এগুলো তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট বিষয়, যেমন একসঙ্গে চা খাওয়া, বৃষ্টিতে হাঁটা বা হঠাৎ জড়িয়ে ধরা, এগুলোই তাদের ভালোবাসার প্রকৃত গল্প।
তারা বিশ্বাস করেন, মুখোমুখি কথা বলার মাধ্যমে সম্পর্কের বোঝাপড়া তৈরি হয়। ফোন বা চ্যাটের মাধ্যমে আবেগের পুরোটা বোঝানো সম্ভব নয়। সরাসরি কথা বলার মধ্যেই সত্যিকারের ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে।
সুখী দম্পতিরা মনে করেন, সম্পর্ক যত ব্যক্তিগত, ততই গভীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট না করা মানে অন্যের সঙ্গে তুলনা বা স্বীকৃতির চাপ থেকে দূরে থাকা।
তাদের সম্পর্ক এতটাই শক্তিশালী যে ভালোবাসা দেখানোর জন্য পোস্টের প্রয়োজন পড়ে না। আত্মবিশ্বাস ও সন্তুষ্টি আসে একে অপরের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক থেকে, অন্য মানুষের প্রশংসা থেকে নয়।সুখী দম্পতিরা জানেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ছবির চেয়ে একসঙ্গে কাটানো মানসম্মত সময় অনেক বেশি মূল্যবান। সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয় অন্তরঙ্গতা, বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক ভালোবাসা থেকে—না যে কোনো ‘লাইক’ বা ‘কমেন্ট’-এর মাধ্যমে।