বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আলোচনায় এসেছেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় তিনি নিজ হাতে জুস খাইয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এর আগে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সাতজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর নিচতলায় আমরণ অনশনে বসেন। অনশন শুরুর কিছুক্ষণ পর উপাচার্য সেখানে এসে প্রথমে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। তবে তারা রাজি না হওয়ায় উপাচার্য নিজে মশারি টানিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে শুয়ে রাত কাটান।
লিখিত আশ্বাসে উপাচার্য জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের পর ছয় মাসের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শেষ করা হবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুটে বাসের সিট সংকট চিহ্নিত করে মঙ্গলবারের মধ্যে রুটে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের আবেদন রোববার জমা দেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধির জন্য ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জমির পুনঃমূল্যায়ন সম্পন্ন হবে।
অনশন ভাঙানোর সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াব। আপাতত আমার প্রতি আস্থা রাখুন।”
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, লিখিত আশ্বাস পাওয়ায় তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন। তবে সময়মতো দাবিগুলো পূরণ না হলে আবার মাঠে নামার কথা ভাববেন।
তাদের তিন দফা দাবি হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জমি অধিগ্রহণ এবং শতভাগ পরিবহন নিশ্চিত করা। আন্দোলন শুরু হয় ২৯ জুলাই মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে। এরপর ১৪ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি চলে। মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি এবং মহাসড়ক অবরোধের পরও কোনো আশ্বাস না পেয়ে তারা অনশন শুরু করেন।

