সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
কুলাউড়ায় বুলডোজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ফেসবুক লাইভ সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন এবং ঘটনাস্থলে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। তবে,এই ঘটনার ব্যাপারে সঠিক তথ্য এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া,সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট,খুলনা ও অন্যান্য অঞ্চলেও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকেও একই ঘটনা ঘটেছে।
কুলাউড়ার এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তানজিল আহমদের নেতৃত্বে ছাত্রদলের সদস্যরা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য শামীম আহমদ, নাহিদ, ইব্রাহিম, আরিফ, রানা, ফয়েজ, সাকেলসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ম্যুরাল ভাঙা কর্মসূচিতে অংশ নেন। আবার তারাই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং দেশের ইতিহাসের প্রতি সম্মান বজায় রাখার দাবি জানান।
এই ধরনের ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনগুলো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন,যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।
কুলাউড়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন;
শেখ হাসিনা সম্পর্কে বক্তব্য বা পদক্ষেপের কারণে কিছু মানুষ ক্ষোভ বা প্রতিবাদ প্রকাশ করতে পারেন,তবে এটি সরাসরি মুরাল ভাঙার ঘটনা ঘটানোর কারণ হতে পারে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া কঠিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল ভাঙার পেছনে রাজনৈতিক, সামাজিক, বা অন্যান্য কারণ থাকতে পারে, তবে শেখ হাসিনার লাইভ বা অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত বক্তব্য কিংবা কার্যক্রমের প্রতি প্রতিক্রিয়া কিছু ব্যক্তির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে,যা কখনও কখনও রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে,তা অবশ্যই একটি জটিল বিষয় এবং সম্পূর্ণ পটভূমি বুঝতে আরও গভীর বিশ্লেষণ প্রয়োজন। তবে,দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও জনগণের মধ্যে মতবিরোধের কারণে সহিংসতা বা প্রতিবাদ দেখা দেওয়া একটি সাধারণ ঘটনা,বিশেষ করে নির্বাচনী বছরগুলোতে।