আগামী ত্রয়োদশ-জাতীয়-সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি। ইতোমধ্যে প্রশাসন দখলে চলছে চতুর্মুখী লড়াই শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিএনপি-জামায়াত-আওয়ামী লীগ লড়াই শুরু করেছে। তবে প্রশাসনে মাঠ ছাড়াতে নারাজ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আমলারা।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে প্রথমে প্রশাসন দখলে নিতে এগিয়ে জামায়াতপন্থীরা। সরকার ও জামায়াতপন্থী কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়ে বিএনপিপন্থী বঞ্চিত কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। আওয়ামী লীগপন্থীরাও চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। আবার নতুন করে প্রশাসন দখল নিতে পরিকল্পনা শুরু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা ইতোমধ্যে মাঠ প্রশাসনে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কয়েকজন উপদেষ্টা তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে পছন্দদের সরকারি কর্মকর্তাকে বদলি ও নিয়োগ দিয়ে বলয় তৈরি করছেন। প্রশাসনে গতি ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানান উদ্যোগ নিলেও এখনো তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। প্রশাসনে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা বা ভালো পোস্টিং না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিগত সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি অংশ চরম দলবাজি করেছে। অতি উৎসাহী কিছু সরকারি কর্মকর্তা (রাজনৈতিক) দলের নেতাকর্মীদের মতো আচরণ করছেন। এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগীরা দাপটের সাথে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এতে গত ১৬ বছর ধরে যারা বঞ্চিত তাদের ক্ষোভ ও হতাশা আরো বাড়ছে। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছর বঞ্চিত কর্মকর্তারা এখনো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। এদিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে শুরু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখনো ফ্যাসিবাদী কর্মকর্তাদের দখলে রয়েছে। তবে উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কিছু ফ্যাসিবাদী কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও তারা আবার ভালো ভালো মন্ত্রণালয়ে বদলি নিতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সব মিলে চতুর্মুখী চাপে বিপাকে পড়েছে দল নিরপেক্ষ সরকারি কিছু আমলা। তবে প্রশাসনের বেশির ভাগ আমলা এখনো বিএনপি ও আওয়ামী লাগের বাইরে অন্য রাজনীতিক দলের মধ্যে সমর্থন দিতে রাজি নয় বলে জানা গেছে।