পুলিশের মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৭৪ ও রেঞ্জের পুলিশের বিভিন্ন জেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪ জনকে। সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে গাজীপুর থেকে। গাজীপুর জেলা পুলিশের পাঁচটি থানা থেকে ৪৬ জনসহ মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার হওয়াদের অনেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আছে দাগি ও পলাতক আসামি এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো জানিয়েছে, সারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে ওই মহলটির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা পেয়ে। তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে। সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় কমান্ড সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সব বাহিনীর কর্মকর্তারা কমান্ড সেন্টারে কাজ করবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মুহিমসহ ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলছেন, অভিযানে এ পর্যন্ত যতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, তার থেকে আরও অনেক বেশি গ্রেপ্তারের প্রত্যাশা ছিল তাদের। এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা অনেকেই এরই মধ্যে চিহ্নিত। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন শিক্ষার্থী মোবাশ্বের হোসেন। তিনি এখন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে গুলি করার মধ্যদিয়ে স্পষ্ট হয়, এখনো ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র রয়েছে এবং তারা অবাধে চলাফেরা করছে। তাই ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর দোসর সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অস্ত্রগুলো উদ্ধার জরুরি।