সাম্প্রতিক এক উত্তপ্ত সাক্ষাতে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়েছে। ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের জন্য যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন না করার অভিযোগ করেন। এতে জেলেনস্কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে, ট্রাম্প তাকে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথে জুয়া খেলার’ অভিযোগ করেন এবং সাক্ষাৎকারটি সংক্ষিপ্ত করেন।
এই ঘটনার পর, ইউক্রেনীয়রা জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়ে তাকে দেশের স্বার্থ রক্ষাকারী হিসেবে সমর্থন জানান। তারা জেলেনস্কির দৃঢ় অবস্থানের জন্য তাকে সমর্থন করে এবং তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে। তবে, কিছু ইউক্রেনীয় এই ঘটনাকে ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা ট্রাম্প ও ভ্যান্সের জেলেনস্কির প্রতি আচরণকে সমর্থন করে মন্তব্য করেছেন, যা আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ইউরোপীয় নেতারা জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন, তবে এই ঘটনাটি ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে, যেখানে মিত্রদেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা স্পষ্ট হয়েছে। এটি ইউক্রেনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যেখানে তাকে তার আন্তর্জাতিক সমর্থন বজায় রাখতে কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ইউক্রেনের বিপর্যস্ত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রতি প্রতিক্রিয়া
কিয়েভে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিতর্কিত ওভাল অফিস সফরকে ঘিরে ইউক্রেনীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাদের দেশকে যে সমর্থন দরকার, তা না পাওয়ার আশঙ্কায় জনগণ হতাশ। তবে এর পরও দেশের অভ্যন্তরে আরও একতা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে, যেহেতু দেশ আরও বেশি আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
কিয়েভের গৌরবময় সেন্ট সোফিয়া ক্যাথিড্রালের পাশে দাঁড়িয়ে ইউলিয়া বলেন, “এটা হয়তো কূটনৈতিক ছিল না, কিন্তু এটি সৎ ছিল। এটি জীবন নিয়ে, আমরা বাঁচতে চাই।”
এই পরিপ্রেক্ষিতে, ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে এক ধরনের সমবেত প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, যেখানে তারা মনে করেন দেশকে আক্রমণের মুখে আরেকটি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন।
যদিও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক নীতি ইউক্রেনকে আরো একত্রিত করতে এবং অনিশ্চয়তার জন্য প্রস্তুত করতে বাধ্য করেছে